মূল বিষয়বস্তু
কম্পিউটার বিজ্ঞান
কোর্স: কম্পিউটার বিজ্ঞান > অধ্যায় 2
পাঠ 1: প্রাচীন ক্রিপ্টোগ্রাফি- ক্রিপ্টোগ্রাফি কি?
- সিজার সাইফার
- সিজার সাইফার অনুসন্ধান
- পলিঅ্যালফাবেটিক সাইফার
- পলিঅ্যালফাবেটিক সাইফার
- ওয়ান-টাইম প্যাড
- নিখুঁত গুপ্ততা অনুসন্ধান
- কম্পাংক স্থায়িত্বের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত সল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
- এনিগমা এনক্রিপশন মেশিন
- নিখুঁত গোপনীয়তা
- সুডোর্যান্ডম সংখ্যার উৎপাদক
- অনুসন্ধানের জন্য দৈবভাবে চলা
© 2023 Khan Academyব্যবহারের শর্তাদিগোপনীয়তার নীতিমালাকুকি নোটিশ
সিজার সাইফার
ব্রিট সিজার সাইফার ব্যাখ্যা করেছেন, প্রথম জনপ্রিয় প্রতিস্থাপন মূলক সাইফার এবং একই সাথে দেখাচ্ছেন কীভাবে "ফ্রিকোয়েন্সি বিশ্লেষণ" করার মাধ্যমে এই সাইফার ভাঙ্গা হয়েছিল।
। এটি তৈরি করেছে ব্রিট ক্রুজ
। এটি তৈরি করেছে ব্রিট ক্রুজ
আলোচনায় অংশ নিতে চাও?
কোন আলাপচারিতা নেই।
ভিডিও ট্রান্সক্রিপ্ট
## আগামী ও গ্রামীণফোন এর সহযোগিতায় অনূদিত ## "প্রতিস্থাপনীয় সাইফার" হল প্রথম
বিখ্যাত সাইফার যা জুলিয়াস সিজার খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৫৮-এ
ব্যবহার করেছিলেন এখন এটি 'সিজার সাইফার' নামে পরিচিত। শত্রুর কাছে অর্থ গুপ্ত রাখতে সিজার তার সামরিক নির্দেশনার প্রতিটি বর্ণ স্থানান্তরিত করেন। মনে করি, এলিস এবং বব এই
সিজার সাইফার ব্যবহার করে যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথমে তাদের পরস্পরকে জানতে হবে কত ঘর পরিবর্তন করা হবে- যেমন, ৩ ঘর করে। ফলে সংকেতরূপে লিখতে এলিসকে চিঠির মূল বার্তার অর্থ নির্ণয় করতে প্রতিটি বর্ণকে ৩ ঘর করে পরিবর্তন করতে হবে, তাহলে, এ হবে - ডি, বি হবে - ই। সি হবে - এফ এবং এভাবে চলবে। তারপর এই অপাঠ্য অথবা গুপ্ত বার্তা প্রকাশ্যে ববকে পাঠানো হয়। মূল বার্তা পড়তে বব সহজেই কেবল প্রতিটি বর্ণকে ৩ ঘর করে বাদ দেয়। অবিশ্বাস্যভাবে, সিজারের শত শত
বছর পরও এই মৌলিক সাইফার সামরিক নেতাদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। "আমি যুদ্ধ করছি এবং জিতেছি। কিন্তু আমি পরাভূত করতে পারিনি - মানবের অদম্য সত্তাকে।" তবে, একটি তালা মজবুত হয় তার
সবচেয়ে দুর্বল বিন্দুতে । একজন তালা খুলতে, সঠিক সমন্বয় নির্ণয় করতে তালার যান্ত্রিক ত্রুটিগুলো খুঁজবে আর এতে ব্যর্থ হলে তথ্যের সার অংশটুকু খুঁজবে। কোন তালা খোলা এবং কোড ভাঙ্গা প্রায় একই রকমের। সিজার সাইফার এর দুর্বলতা ৮00 বছর পরে প্রকাশিত হয় একজন আরব গণিতবিদ "আল-কিন্দি"-এর মাধ্যমে। তিনি বার্তার ভাষার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে সূত্র ব্যবহার করেন এবং সিজার সাইফার ভাঙ্গতে সক্ষম হন। আপনি কোন বই থেকে যদি লেখা স্ক্যান করেন এবং প্রতিটি বর্ণের পুনরাবৃত্তি গণনা করা হলে মোটামুটি একটি
সামঞ্জস্যপূর্ণ ধরণ পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, এগুলো হল
ইংরেজি বর্ণের পুনরাবৃত্তি। একে ইংরেজির ফিঙ্গারপ্রিন্ট হিসেবে
চিন্তা করা যেতে পারে। যোগাযোগের সময় আমরা না বুঝেই এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করি। এই সূত্রটি কোড ভাঙ্গার ক্ষেত্রে সবচেয়ে মূল্যবান এক উপাদান। এই সাইফার ভাঙ্গার জন্য, তারা গুপ্ত লেখার প্রতিটি বর্ণের পুনরাবৃত্তি গণনা করে
এবং পুনরাবৃত্তির মধ্যকার দূরত্ব গণনা করে কতদূরে স্থানান্তরিত
হয়েছে তা পরীক্ষা করে। উদাহরণস্বরূপ, গুপ্ত বার্তায় যদি ই এর পরিবর্তে এইচ সবচেয়ে বেশি থাকলে শুধুমাত্র ৩ ঘর পরিবর্তন করতে হবে। সুতরাংএখানে বর্ণের অবস্থান পরিবর্তন করে মূল বার্তা প্রকাশ করা হয়। একে 'পুনরাবৃত্তি্র বিশ্লেষণ' বলে। আর এটাই সিজার সাইফার নিরাপত্তায়
আঘাত করেছিল। ## আগামী ও গ্রামীণফোন এর সহযোগিতায় অনূদিত ##