If you're seeing this message, it means we're having trouble loading external resources on our website.

তোমার যদি কোন ওয়েব ফিল্টার দেওয়া থাকে, তাহলে দয়া করে নিশ্চিত কর যে *.kastatic.org এবং *.kasandbox.org ডোমেইনগুলো উন্মুক্ত।

মূল বিষয়বস্তু

ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক টেলিগ্রাফ (কেইস স্টাডি)

ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হবার অনেক আগে, মানুষ স্ট্যাটিক ইলেক্ট্রিসিটি তাঁরের মাধ্যমে পাঠানোর মাধ্যমে তথ্য প্রেরণের কথা চিন্তা করত। এটি তৈরি করেছে ব্রিট ক্রুজ

আলোচনায় অংশ নিতে চাও?

কোন আলাপচারিতা নেই।
ইংরেজি জানো? খান একাডেমির ইংরেজি সাইটে আরো আলোচনা দেখতে এখানে ক্লিক কর।

ভিডিও ট্রান্সক্রিপ্ট

প্রায় ৬০০ খ্রীষ্টপূর্বে মিলীটাসের থেলিস প্রথম গ্রিক দার্শনিক হিসাবে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিল। তিনিই প্রথম প্রাকৃতিক ঘটনাসমূহের বিশুদ্ধরূপে ব্যাখ্যা প্রদান করেন তার পর্যবেক্ষণের অন্যতম একটি বিষয় ছিল অ্যাম্বার নামক একটি পাথর নিয়ে যা পশমে ঘষলে একটি অদ্ভুত একধরণের বিষয় পরিলক্ষিত হত। মনে হত অ্যাম্বারের অভান্তরে অদৃশ্য একধরণের শক্তি আছে যা ছোট তন্তুকে আকৃষ্ট করে। তিনি ভেবেছিলেন এই কারণে অ্যাম্বার চুম্বকে পরিণত হচ্ছে, সেইসাথে এই বিষয়টি প্রাকৃতিক চুম্বক পাথরের ক্ষেত্রেও লক্ষ্য করেন। তারও অনেক পরে অনেকেই লক্ষ্য করেন পশমের সংস্পর্শে কিংবা ঘর্ষনের ফলে এমন একটি বিষয় অনুভূত হয়। কোন কিছু একটা পশম থেকে অন্য বস্তুতে স্থানান্তরিত হচ্ছে। এখন, শুধুমাত্র এর ফলে ক্ষুদ্র কোন আকর্ষনই তৈরি হয় না বরং বড় কোন আকর্ষনের সম্ভাবনাও তৈরি হয়। একবার এই শক্তি ক্ষরণ হয়ে গেলে আকর্ষণটিও অদৃশ্য হয়ে যায়। তাই এই আকর্ষণ কিছু ক্ষরণের ফলে তৈরি হয় যা ঘর্ষণের কারণে যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়, তার বিপরীত। এটা ছিল ঐতিহাসিক। তাছাড়াও, আমাদের বিদ্যুৎ চমকানো বিষয়টির প্রতিও ছিল অপার মুগ্ধতা। প্রকৃতির সবচেয়ে প্রগাঢ় এবং আগ্রাসনী ক্ষমতা প্রদর্শনের একটি রূপ। বেশিরভাগ সংস্কৃতিতে একে ঐশ্বরিক শক্তি হিসেবে ধরে নেয়া হত যা মানুষের হাতে নাগালের বাইরে এবং তা শুধু দেবতাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। সপ্তদশ শতকের আগ পর্যন্ত বজ্রপাতকে আকাশের দৃশ্যমান ভারী একটি বস্তু হিসেবেই দেখা হত কিংবা একটি সুতা যা সম্প্রসারিত হয়ে আবার সংকুচিত হয়ে যায়। এবং বেঞ্জামিন ফ্র্যাংকলিন ১৭৫২ সালে প্রমাণ করেন যে এই বাজের সাথে ক্ষুদ্র শকের একটি সম্পর্ক আছে। এ নিয়ে তাঁর বিখ্যাত কিন্তু বিপজ্জনক পরীক্ষার ঘটনা আছে। তিনি তাঁর ছেলেকে নিয়ে বজ্রপাতের সময় একটি ঘুড়ি উড়ায় যার সূতা ভিজা ছিল। তিনি এর সাথে একটি লোহার চাবি সংযুক্ত করেন। এবং কিছুক্ষণ পর তিনি চাবিতে হাত দিতেই গুচ্ছাকারে শক পায় যেমনটা ঠিক পশমে সাথে ঘর্ষণের ফলে হয়েছিল। এটা দিয়ে বুঝা যায় যে বিদ্যুতের এই চমকানোর বিষয়টি আমাদের দৈনন্দিন শকেরই একটি ঘটনা কিন্তু এর ব্যাপকতা বেশি। এরই মাঝে পদার্থকে দুটো শ্রেণিতে বিভক্ত করা শুরু হয়, যথাঃ একটি হল বিদ্যুৎ পরিবাহী যে পদার্থগুলো এই আকর্ষন করে কিংবা ক্ষরণ ঘটে। যেমন, সোনা অথবা তামা। মজার ব্যাপার হল, এই উপাদানগুলি সাধারণত ভাল তাপ পরিবাহী। আর দ্বিতীয়টি হল, বিদ্যুৎ অপরিবাহী। যেগুলো এই আকর্ষন করে না বা ক্ষরণ হয় না। যেমন, রাবার বা বৈদ্যুতিক অন্তরক সমূহ। এই পদার্থগুলো তাপ স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও অন্তরক হিসেবে কাজ করে। এবং আমরা থেলিসের পরিলক্ষিত এই বল পরিমাপ করার চেষ্টা করছি। এটা করার জন্য ছোট স্পঞ্জের পিথ বল যা একটি সুতা দিয়ে ঝুলিয়ে দেয়া হল। এরপর যখন এটি একটি অন্তরক পদার্থের সাথে ঘষে পিথ বলের কাছে নেয়া হল তখন দেখা গেল পিথ বলটি অন্তরকের দিকে বিনিময়তার কারণে আকর্ষিত হয়। আমাদের যদি আরো অনেক বস্তু থাকে তাহলে আমরা লক্ষ্য করব যে এই ঘর্ষন বৃহৎ আকর্ষন বলের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, একটি অন্তরকের আকৃতিও পার্থক্য তৈরি করে। বড় পাতলা অন্তরক অনেক বেশি শক্তিশালী বল প্রদর্শন করে। (নরম ঘণ্টা রিং) এবং আশ্চর্যজনক ভাবে দেখা যায় যে তামার মত বিদ্যুৎ পরিবাহী তাঁর বহুদূর পর্যন্ত এই শক্তি বয়ে নিয়ে যায়। একটি দীর্ঘ তারের একপ্রান্তে অন্তরক এবং ওপর প্রান্তে পিথ বল রেখে এর প্রমাণ করে দেখানো হয়। যখন বস্তুটি তারের কাছে নেয়া হয় তখন এটি মুহূর্তের মধ্যে পিথ বলকে টেনে ধরে রাখে। যখন আঙুল দিয়ে তার স্পর্শ করা হয় তখন এটি থেকে আধান উৎসারিত হয় এবং পিথ বলকে টেনে ধরে রাখা বন্ধ হয়ে যায় এবং বলটি মুক্তভাবে ঝুলতে থাকে। অবিলম্বে মানুষ অনুমান করে যে এটি ভবিষ্যতে অপটিক্যাল টেলিগ্রাফ হিসেবে কাজ করতে পারে। ১৭৭৪ সালে ফরাসি উদ্ভাবক জর্জ লুই লে সায এই ধারণা প্রথম প্রয়োগ করে একটি রেকর্ড করেন তিনি ২৬টি তারের একটি রশ্মি সাহায্যে বার্তা পাঠান যার প্রতিটি তার একেকটি বর্ণকে প্রতিনিধিত্ব করে। একেকটি ক্ষরণের সাথে সাথে পিথবলটি একেকটি তারে আকর্ষিত হয়। এই টেলিগ্রাফের সমস্যা ছিল এটা শুধু বাড়ির দুটি কক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এর আকর্ষনের ক্ষমতা কম ছিল এবং এটি নিয়ে কাজ করাও কঠিন ছিল। ইতোমধ্যে মানুষেরা আরো বড় বৈদ্যুতিক আধান নিয়ে গবেষণা করে সেই বলকে আরো বর্ধিত করতে। আলেক্সেন্দ্রো ভোল্টার এক বছর পর এর কিছুটা উন্নত রূপ আবিষ্কার করে। তা হল প্রয়োজন অনুসারে তরঙ্গ উৎপাদন। একটি অন্তরকের আধান উৎপন্ন করা বা কম দূরত্বে পরিবাহী প্লেটে স্থানান্তরের উপর ভিত্তি করে এই ধারণা গড়ে উঠে। এরজন্য একটি ধাতব প্লেটকে অন্তরকের কাছে নিয়ে আসতে হবে যেটি ধাতব প্লেট ও অন্তরকের মধ্যে আধানের ভারসাম্য প্রদান করবে। এরপর এটায় অঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করলে এর আধান চলে যাবে এবং অন্তরক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। অতিরিক্ত আধান প্লেটে আটকা পড়বে। তারপর একে আংগুল বা পরিবাহী দিয়ে স্পর্শ করলেই এর আধান চলে যাবে। আর এই কাজটির সময় বার বার পুনরায় আধান না দিয়েও করা যাবে। আমরা তখন অনেক ছোট ছোট উৎসারণ উৎপন্ন করতে পারি। এরইমধ্যে বেঞ্জামিন ফ্র্যাংকলিন এই কত উৎসারিত আধান কিভাবে সংগ্রহ করা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তখনও তিনি মনে করতেন বিদ্যুৎ হল একধরণের অদৃশ্য তরল। যেহেতু আমরা জানতাম যে এটা পানির মধ্যেও পরিবাহিত হয় তাই ধারণা করাই যায় যে কোন অন্তরকের মধ্যে অবস্থিত পানি আধান ধরে রাখতে সক্ষম। এর ধারক হিসেবে একটি গ্লাসের পাত্র যার মধ্যে পানি এবং উপরে ধাতব শলাকা রাখা হল। ফ্র্যাংকলিন এছাড়াও একটি বাইরে থেকে পরিবাহী ধাতু দ্বারা আবৃত। তিনি একটি আয়নিত পরিবাহীকে উপরের ধাতব শলাকার কাছে আনেন তখন পরিবাহী থেকে আধান পাত্রে জমা হয়। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল যে পাত্রটি ছিল একাধিক বার আয়নিত করা যেত। পাত্রের মধ্যে প্রত্যেকটি স্ফুলিঙ্গ বৈদ্যুতিক আকর্ষনকে বৃদ্ধি করে। বিষয়টি বুঝার জন্য় পাত্রটিকে একটি বেলুন মনে করা যাক। এবং প্রতিটি ক্ষরণকে একেকটি পানির ছলক হিসেবে গন্য করা যাক। এমন ১০০টি ছলকে বেলুনের মধ্যে চাপ সবচেয়ে বেশি হয়। এবং আধানকে মুক্ত করতে তিনি কেবল বাহিরে পরিবাহীকে স্পর্শ করল। তখন একটি বৃহৎ উৎসারণ ঘটে। ফ্রাঙ্কলিন সময়ের সাথে সাথে নকশার উন্নতি ঘটান। যদিও তিনি বুঝতে পারেন যে আধান পানিতে নয় বরং গ্লাসে জমা হয়। পানি ছিল পরিবহণের একটি মাধ্যম মাত্র। আজ হয়ত আমরা এই পাত্রকে আধান সংগ্রহের পাত্র কিংবা ক্যাপাসিটর বলতাম। এবং যখন তিনি অনেকগুলো পাত্রকে পরিবর্তন করেন তিনি এর ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন এবং তখন বেশি ভোল্টের বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। বছরের পর বছর ধরে মানুষ ঘর্ষনের যন্ত্র ব্যবহার করে নানা উপায়ে আধান তৈরি করেছে যা ক্যাপাসিটর সংরক্ষন করে এবং মানুষের তৈরি অসাধারণ বৈদ্যুতিক বিস্ফোরন প্রদর্শন করে। এবং পরবর্তী ৫০ বছরে মানুষ দুরবর্তী স্থানে এই বিদ্যু্তের আরো শক্তিশালী স্ফুলিঙ্গ প্রেরণের জন্য নানা পদ্ধতির নকশা করে। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে স্থিরতড়িৎ প্রেরণ অনেকটা সেকেলে এবং উদ্ভট হলেও তৎকালীন অপটিক্যাল টেলিগ্রাফে তা কোন প্রভাব ফেলেনি। এটি সরকার ও শিল্প কারখানা দ্বারা ব্যপকভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। যদিও তা ধীরে ধীরে বাড়ছিল। কিন্তু বৈদ্যুতিক বিপ্লবের দ্বার-প্রান্তের কাছাকাছি ছিল। ## আগামী ও গ্রামীণফোন এর সহযোগিতায় অনূদিত ##