মূল বিষয়বস্তু
কোর্স: পদার্থবিজ্ঞান > অধ্যায় 2
পাঠ 1: Discovery of batteriesব্যাটারি এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিজম
আমাদের গল্পে ব্যবহার করা মূল প্রযুক্তিগুলো। এটি তৈরি করেছে ব্রিট ক্রুজ
আলোচনায় অংশ নিতে চাও?
কোন আলাপচারিতা নেই।
ভিডিও ট্রান্সক্রিপ্ট
আমরা এখন একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা দেখবো এখানে দুটি ধাতব পদার্থ আছে কপার এবং জিঙ্ক যাদের সাথে তড়িৎ পরিবাহী তার সংযুক্ত করা হয় তারপর দুটি ধাতব দন্ড তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রবণে দেখা যায় জিঙ্ক দন্ডে বুদবুদ তৈরি হয়েছে কিন্তু কপার দন্ডে কিছু হয়নি ধাতব দন্ডের পৃথক বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয় এখন যদি দন্ডের সাথে সংযুক্ত তার একত্রিত করা হয় তাহলে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় কপার দন্ডের চারপাশেও বুদবুদ তৈরি হয় দেখে মনে হয় জিঙ্ক দন্ড থেকে তারের মাধ্যমে কিছু একটা কপার দন্ডের দিকে টানা হচ্ছে এবং এটি হল মূলত ইলেক্ট্রনের প্রবাহ যেখানে ইলেকট্রন জিঙ্ক দন্ড থেকে কপার দন্ডের দিকে তড়িৎ পরিবাহী তারের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় চার্জের অসামঞ্জস্যতার কারণে এরূপ প্রবাহ হয় অথবা দুটি দন্ডের মধ্যে তড়িৎ চাপের কারণে এরূপ ঘটে থাকে। তড়িৎ নিঃসরণের ক্ষেত্রে যা স্থির তড়িৎ পরীক্ষায় দেখা যায় এবং ১৮ শতাব্দীর শেষের দিকে আলেসান্দ্রো ভোল্টা এটি নিয়ে গবেষণা করেন তিনি দেখেন যে তড়িৎ কোষগুলো নিয়ে একটি সারি গঠন করলে তড়িৎ প্রবাহের বৃদ্ধি ঘটে এবং ১৮০০ শতকে তিনি এই পদ্ধতি আরও সহজ করেন তিনি পাত্র বাতিল করেন ফলে প্রয়োজনের বেশি ইলেক্ট্রোলাইট পাওয়া যায় তিনি লেখেন, কয়েক ডজন ছোট গোলাকৃতির কপারের পয়সার মত চাকতি এবং সমপরিমাণ জিঙ্কের পাতসহ আমি স্পঞ্জের মত পানি ধারণ করতে সক্ষম পদার্থ তৈরি করে একটি কপার পাতের উপর পানি ধারক পদার্থ দিয়ে তার উপরে জিঙ্কের ভেজা পাত দেই এভাবেই একটির উপর আরেকটি পাত স্থাপন করে সর্বাধিক উচ্চতা বিশিষ্ট কলাম গঠন করি এমনভাবে যেন এটি পরে না যায়। এটিই ভোল্টের স্তূপ হিসেবে বহুল পরিচিত ইতিহাসের সর্বপ্রথম ব্যাটারি যা চলমান তড়িৎ প্রবাহ প্রদান করতে সক্ষম ছিল আরও তড়িৎ কোষ যোগ তড়িৎ চাপ বৃদ্ধি করে আগে একে তড়িৎ চাপ বলা হত যা এখন ভোল্টার নামানুসারে ভোল্টেজ নামে পরিচিত এখন দুটি স্তূপের তার একসাথে সংযুক্ত করলে তড়িৎ স্ফুলিঙ্গের সৃষ্টি লক্ষ্য করা যায় প্রথমে যোগাযোগ মাধ্যমে হিসেবে তড়িৎ ব্যবহার সম্পর্কে স্পষ্ট কোন ধারনা ছিল না। তড়িৎ প্রবাহ বুদবুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এই বুদবুদ ব্যবহার করেই সংকেত প্রেরণ পদ্ধতি আবিস্কার করা হয় যার নাম বুদবুদ টেলিগ্রাফ যদিও এতে ২৬ টি ভিন্ন রকম বর্তনী থাকতো একটি অক্ষরের জন্য এটির মূল ভিত্তি ছিল যে ব্যাটারিকে বুদবুদের পাত্র থেকে দূরে স্থাপন করা যায় ভালো উদ্ভাবন হলেও পদ্ধতি অগ্রহণযোগ্য ছিল কিন্তু খুব শীঘ্রই সবকিছুতে পরিবর্তিত হয় ১৮১৯ সালের জনপ্রিয় প্রমাণ প্রদর্শনের পর প্রমাণে একটি তারকে কম্পাসের উপর নিয়ে তারটিকে ব্যাটারির সাথে সংযুক্ত করা হয় যখনই তার ব্যাটারিকে স্পর্শ করে তখনই কম্পাসের কাটাটি বাহ্যিক বল ছাড়াই নড়ে ওঠে এটির উপযুক্ত ব্যাখা হল বিদ্যুৎ পরিবাহী তার একটি অস্থায়ী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে এরপর এটি নিয়ে আরও অনেক গবেষণা চলে চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক নির্ণয় করার জন্য প্রথম মনে করা হয় এটি তারটির তড়িৎ প্রবাহের দিকে ক্রিয়া করে অথবা তার থেকে তাপ বিকিরণের মত ক্রিয়া করে কিন্তু পরবর্তীতে বোঝা যায় যে আসলে এটি তারের চারিদিক ঘিরে উল্লম্বভাবে ক্রিয়া করছে অর্থাৎ একটি প্যাঁচানো তার এমন চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি করে যা প্যাঁচানো তারের মধ্যে দিয়ে বাইরের দিকে ক্রিয়া করে এ সকল গবেষণার ফলাফল হল গ্যালভানোমিটার যা তড়িৎ প্রবাহ পরিমাপের জন্য তৈরি করা হয় এটি হল একটি সাধারণ তারের কুণ্ডলী যার মধ্যে একটি কম্পাস অবস্থান করে যখন কুণ্ডলীতে তড়িৎ প্রবাহ প্রয়োগ করা হয় একটি চৌম্বক ক্ষেত্র কুণ্ডলীর মধ্য দিয়ে বাহিরের দিকে ক্রিয়া করে যেন কাটাটি বলের দিকে উল্লম্বভাবে ক্রিয়া করে যা কাটাটির উভয় পাশে ভারসম্য রক্ষা করে এবং তড়িৎ প্রবাহ যত শক্তিশালী হয় কাটার বিচ্যুতি তত বেশি হয় ১৮২৪ সালে উইলিয়াম স্টারজেন চৌম্বক ক্ষেত্রে বল আরও বৃদ্ধি করার পদ্ধতি প্রদর্শন করেন সাধারণভাবে একটি তারকে একটি লোহার দন্ডের চারিদিকে পেঁচিয়ে কুণ্ডলী তৈরি করেন যার ফলে চৌম্বক শক্তি বৃদ্ধি পায় কারণ দেখা যায় লোহা চৌম্বক ক্ষেত্র গঠনের মাধ্যম হিসেবে বেশি উত্তম যা হল চৌম্বক আবেশ আর তার যত বেশিবার প্যাঁচানো হয় তত চৌম্বক ক্ষেত্রের শক্তি বৃদ্ধি করা যায় এবং একে বলা হয় তাড়িতচুম্বক চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করা সম্ভব ছিল যা কাটাকে সুনির্দিষ্টভাবে নড়াতে পারে দূর থেকে তড়িৎ প্রবাহ বিশাল তারের কুণ্ডলী ও শক্তিশালী ব্যাটারি ব্যবহার করার মাধ্যমে সেই সময়ে তথ্য সম্পর্কে জ্ঞান স্বল্প ছিল মানুষ ভাবতো যে তথ্য এবং বার্তা হল কয়েক অক্ষরে লেখা কতিপয় বিষয়ের বার্তা এজন্য মূল লক্ষ্য ছিল কে চিঠি পাঠানোর সবচেয়ে দ্রুত মাধ্যম আবিস্কার করতে পারবে এবং যে এরূপ দ্রুত মাধ্যম তৈরি করতে পারবে সে ফলশ্রুতিতে প্রতিটি বার্তার খরচ কমিয়ে আনতে পারবে এবং এটি যে সর্বপ্রথম আবিস্কার করতে পারবে তার জন্য স্বর্ণ শিখর অপেক্ষা করছিলো